
ডাক প্লেগ রোগ (Duck Plaque)
কারণ:
ডাকপ্লেগ ভাইরাস দ্বারা হাঁস এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে ।
রোগ ছড়ানোর মাধ্যম:
● আক্রান্ত হাঁসের মলের মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায় ।
● খাদ্যপাত্র, পানি, খামারের সরঞ্জামাদি ইত্যাদি সব কিছুতেই এ রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে এবং পালের অন্যান্য হাঁসকে সংক্রমিত করে রোগ ছড়ায় ।
● পানিতে হাঁসের মলত্যাগ করার ফলে পানির সাহয্যে
এ রোগের জীবাণু বাহিত হয়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে যেতে পারে ।
লক্ষণ:
আক্রান্ত হওয়ার ৩ হতে ৫ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পায় । এ রোগের লক্ষণ অত্যন্ত তীব্ররূপ ধারণ
করে । ডাক প্লেগ রোগের লক্ষণ সমূহ যেমন-
● হঠাৎ করে আক্রান্ত হয়ে অধিক হারে মৃত্যু শুরু হয় ।
● অত্যাধিক পানি পিপাসা থাকে ।
● খাদ্য গ্রহণে অনীহা, মাথা নিচু করে শুয়ে থাকে ।
● চোখ দিয়ে পানি ঝরে ।
● হঠাৎ ডিম উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায় ।
● কখনও কখনও পায়ে অবশতা ( Paralysis ) দেখা যায় ।
● শ্বাসকষ্ট, নাক ও মুখ দিয়ে তরল পদার্থ নির্গত হয় ।
● আক্রান্ত হবার পর এক সপ্তাহের মধ্যেই মৃত্যু হয় ।
● মৃত্যুহার শতকরা ৯০-১০০ ভাগ পর্যন্ত হয় ।
● মৃত হাঁসের খাদ্যতন্ত্রের গাত্র, হৃৎপিন্ড, যকৃত, ডিম্ব থলি এবং দেহাভ্যন্তরে অন্যান্য অঙ্গে জমাট রক্ত কণা দেখা যায় ।
রোগ নির্ণয়:
১ । রোগের লক্ষণ দেখে রোগ সম্বন্ধে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায় ।
২ । মৃত হাঁসের দেহের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অঙ্গ পরীক্ষা করতে হবে ।
৩ । আক্রান্ত অথবা মৃত হাঁস গবেষণাগারে পরীক্ষা করে গবেষকগণ অতি সহজেই এ রোগ
শনাক্ত করা যায় ।
চিকিৎসা:
Rx
(১) এ রোগে আক্রান্ত হাঁসের কোন চিকিৎসা নেই, তবে-(২) সিপরোফ্লাসিন জাতীয় যেমন- সিডাফ্লক্স ( অপসোনিন )/ সিপ্রোসিন ভেট ( Square ) এন্ডোসিন/ এনরক্স-১০, এনরো-১০ / এ / সিনোফ্লক্স, সিপ্রোসল ইত্যাদির যে কোন একটি ১ মি. লি. / ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায় ।
অথবা,
১ মিলি রেনামাইসিন ইঞ্জেকশন ১ মিলি বিশুব্ধ পানিতে মিশিয়ে বুকের মাংসে পর পর ৩ দিন করলে কিছু উপকার পাওয়া যায় ।
প্রতিরোধ:
(ক) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যপ্রদ ব্যবস্থাপনা এই রোগের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে সাহায্য
করে ।
(খ) নিয়মিতভাবে ডাক প্লেগ ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে এ রোগ প্রতিরোধ করা যায়