Create New Post

"কোরবানির পশুতে স্বয়ংসম্পূর্ণতার অর্থনৈতিক তাৎপর্য"

তারিখ ২৭/০৫/২০২৫ কোরবানি কেবল ধর্মীয় পশু কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং তা হলো বহুমাত্রিক অর্থনৈতিক তৎপরতা, যা আমাদের জাতীয় অর্থনীতির চাকায় আরো গতি সঞ্চার করে। ঈদুল আজহার পূর্বে কোরবানির পশু ক্রয় ও বিক্রয়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সৃষ্ট হয় ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, পশুখাদ্য, ওষুধ, পরিবহন, পশু চিকিৎসা, পশু শেড, পশুর জন্য সুপেয় পানি ইত্যাদি খাতে সৃষ্ট হয় নানা রকম কর্মসংস্থান। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখে কোরবানির পশু উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা। গত কয়েক বছর ধরে সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নানা উদ্যোগ ও অনুকূল নীতিমালার ফলে দেশেই কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণ সম্ভব হচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হচ্ছে বড় অঙ্কের অর্থ, দেশ হয়ে উঠছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। প্রতিবছরের মতো ৭ বছরের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, কৃষক ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপকের যৌথ কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা নির্ধারণ করেছে। ৭ বছরে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ১ কোটি ২ লাখ ৪৪ হাজার। সরকারি ও বেসরকারি সূত্র অনুযায়ী এবার কোরবানির জন্য প্রস্তুত গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ৫৬ লাখ ২ হাজার। এদের মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার গরু-মহিষ এবং বাকিগুলো ছাগল-ভেড়া। এর বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০ হাজার কোটি টাকা। অন্যান্য পশু (ছাগল-ভেড়া) এর বাজার মূল্য আনুমানিক ১৫ হাজার কোটি টাকা। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মিলিয়ে কোরবানির পশু বিক্রি হতে পারে ৪৫ হাজার কোটি টাকার। শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশনে এবার শুরু ৫৬ লাখ ২ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ৩০ লাখ ৩৪ হাজার গরু-মহিষ। বছরজুড়ে নানা রকম উদ্যোগে খামারিরা এখন দেশি গরু-ছাগল ও ভেড়া উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। চামড়ার সংরক্ষণ দূর ভবিষ্যতে আরো স্বচ্ছন্দ্যের বিষয় হবে বলে বিশ্বাস। ২০টি ছাগল-ভেড়ার চামড়ার বাজার মূল্য ১০০ কোটি টাকা। চামড়া বিক্রেতারা জানিয়েছেন এবার গরুর চামড়ার দাম গত বছরের তুলনায় ৫% বেশি। তবে ঢাকায় এখনো অনেকে নিজ উদ্যোগে চামড়া সংরক্ষণ করছে। মোট চামড়ার প্রায় ৩০ শতাংশ সংরক্ষিত হয়। চামড়াশিল্প দেশের প্রধান রপ্তানি বাণিজ্যের অন্যতম। আগের বছর থেকে দেশে তৈরি পোশাক ছাড়াও ‘হিডেন আইটেম’ হিসেবে পণ্য রপ্তানি চলছে। চামড়া সংরক্ষণের প্রধানতম বাধার সময় বিদ্যুৎ যাওয়ার সময়। তাই সরকারের অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে চামড়া সংরক্ষণের ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। সরকার ইতোমধ্যে চামড়া সংরক্ষণের জন্য ‘ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন’ তৈরি করেছে, যা চামড়া সংরক্ষণের জন্য প্রযোজ্য। দেশজুড়ে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যবস্থা জোরদার করা গেলে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পশুর বর্জ্য সংগ্রহ করে তা কৃষিতে কাজে লাগানো যায়। এতে যেমন পরিবেশ দূষণ রোধ হবে, তেমনি জৈবসার উৎপাদনের সুযোগ তৈরি হবে। অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতি দূর করতে পারলে কোরবানি গরিবদের জন্য আরও স্বাচ্ছন্দের বিষয় হবে বলে বিশ্বাস।

Post Image
“সুস্থ জীবন, টেকসই ভবিষ্যৎ—দুধের মধ্যেই আছে সমাধান।” বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৫ l

তারিখ: ১ জুন পুষ্টি, সুস্থতা ও টেকসই ভবিষ্যতের বার্তা নিয়ে l ___ দুধ: একটি প্রাকৃতিক পরিপূর্ণ খাদ্য প্রাকৃতিক উপায়ে প্রাপ্ত সবচেয়ে সম্পূর্ণ ও পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দুধ। এতে রয়েছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-বি১২, ফসফরাসসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় দুধ অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের শরীর ও মনের সুস্থতায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে শিশুদের হাড় গঠনে, কিশোরদের শারীরিক বিকাশে এবং প্রাপ্তবয়স্কদের হাড় ও দাঁতের সুরক্ষায় দুধের গুরুত্ব অপরিসীম। এমনকি বয়স্কদের ক্ষেত্রে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধেও এটি কার্যকর। --- বিশ্ব দুগ্ধ দিবস: একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ ২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) বিশ্বব্যাপী ১ জুন দিনটিকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো—বিশ্ববাসীর মাঝে দুধের পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। --- দুধ শুধু খাদ্য নয়—একটি শিল্প, একটি জীবিকা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুগ্ধশিল্পের সঙ্গে জড়িত। এটি শুধু কৃষকদের জন্য আয় সৃষ্টির পথ নয়, বরং একটি শক্তিশালী গ্রামীণ অর্থনীতি ও খাদ্য নিরাপত্তার ভিত গড়েও তোলে। বাংলাদেশেও দেশের হাজারো খামার, দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান এবং ছোট-বড় বিক্রেতারা এই খাতের সঙ্গে যুক্ত। তাই দুগ্ধখাতের উন্নয়ন মানেই দেশের সার্বিক উন্নয়নে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া। --- ২০২৫ সালের বার্তা: সুস্থতা ও স্থায়িত্ব এই বছরের প্রতিপাদ্য— “সুস্থ জীবন, টেকসই ভবিষ্যৎ—দুধের মধ্যেই আছে সমাধান।” এই প্রতিপাদ্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, পুষ্টি ও টেকসই জীবনের জন্য দুধ একটি অপরিহার্য উপাদান। শুধু স্বাস্থ্য নয়, পরিবেশবান্ধব ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির জন্যও দুধ ও দুগ্ধশিল্প গুরুত্বপূর্ণ। --- আমাদের করণীয় কী? প্রতিদিন দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলা শিশুদের ছোটবেলা থেকেই দুধ খাওয়ার উৎসাহ দেওয়া স্থানীয় খামারিদের সমর্থন জানানো, দেশীয় দুগ্ধশিল্পকে এগিয়ে নেওয়া দুধ নিয়ে প্রচলিত ভ্রান্ত ধারণা এড়িয়ে চলা দুধের সঠিক সংরক্ষণ ও নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা --- শেষ কথা বিশ্ব দুগ্ধ দিবস কেবল একটি দিবস নয়, এটি একটি সচেতনতার আন্দোলন—যার মাধ্যমে আমরা পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হই, দেশের কৃষি ও শিল্পকে সমর্থন করি, এবং পরিবেশবান্ধব জীবনধারার দিকে এগিয়ে যাই। আসুন, আমরা সবাই মিলে দুধের উপকারিতা ছড়িয়ে দিই, সচেতন হই এবং একটি সুস্থ ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি। “দুধ পান করুন, সুস্থ থাকুন। দুগ্ধখাতকে ভালোবাসুন, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুন।”

Post Image
অ্যানথ্রাক্সের সতর্কতা

অ্যানথ্রাক্স একটি গুরুতর রোগ যা সাধারণত ব্যাসিলাস অ্যানথ্রাসিস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট। এই ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিকভাবে সারা বিশ্বের মাটিতে পাওয়া যায় এবং সাধারণত গবাদি পশু এবং বন্য প্রাণীদের প্রভাবিত করে। প্রকার একজন ব্যক্তির কী ধরণের রোগ হয় তা নির্ভর করে অ্যানথ্রাক্স কীভাবে শরীরে প্রবেশ করে তার উপর: ত্বক, ফুসফুস বা পাকস্থলীতন্ত্রের মাধ্যমে। অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা না করা হলে সব ধরণের অ্যানথ্রাক্স মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ত্বকের অ্যানথ্রাক্স যখন কোনও ব্যক্তি সংক্রামিত প্রাণী বা দূষিত পশুজাত পণ্য যেমন পশম, চামড়া বা চুল স্পর্শ করে তখন অ্যানথ্রাক্সের স্পোর ত্বকের কাটা বা খোঁপায় প্রবেশ করে তখন ত্বকের অ্যানথ্রাক্স হয়। এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মাথা, ঘাড়, বাহু এবং হাতে দেখা যায়। এটি অ্যানথ্রাক্স সংক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ রূপ এবং এটিকে সবচেয়ে কম বিপজ্জনক বলেও মনে করা হয়। ত্বকের কাটা অংশে অ্যানথ্রাক্সের বীজ প্রবেশ করে, যার ফলে ত্বকে অ্যানথ্রাক্স হয়। অ্যানথ্রাক্সের বীজ ত্বকের কাটা অংশে প্রবেশ করে, যেখানে এটি প্রবেশ করে সেখানে ত্বকে অ্যানথ্রাক্স হয়। ইনহেলেশন অ্যানথ্রাক্স ইনহেলেশন অ্যানথ্রাক্স তখন হতে পারে যখন একজন ব্যক্তি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অ্যানথ্রাক্সের বীজ গ্রহণ করেন। এটি রোগের সবচেয়ে মারাত্মক রূপ। যারা উল মিল, কসাইখানা এবং ট্যানারির মতো জায়গায় কাজ করেন তারা সংক্রামিত প্রাণী বা দূষিত পশুজাত পণ্যের সাথে কাজ করার সময় স্পোর গ্রহণ করতে পারেন। ইনহেলেশন অ্যানথ্রাক্স প্রাথমিকভাবে বুকের লিম্ফ নোড থেকে শুরু হয় এবং পরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। অ্যানথ্রাক্সের ক্ষেত্রে বায়ুবাহিত বা ফোঁটা জাতীয় সতর্কতা নেই কারণ এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রামিত হয় না। পরিবর্তে, সংক্রমণ মূলত দূষিত পদার্থের সংস্পর্শের মাধ্যমে ঘটে, যেমন পশুর চামড়া, অথবা দূষিত উৎস থেকে স্পোর নিঃশ্বাসের মাধ্যমে। স্ট্যান্ডার্ড সতর্কতা, যার মধ্যে হাতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং সরাসরি সংস্পর্শ এড়াতে উপযুক্ত ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম (PPE) অন্তর্ভুক্ত, অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য যথেষ্ট। বিস্তারিত: ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমণ নয়: অ্যানথ্রাক্স কোনও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ নয়, এবং এটি কাশি, হাঁচি বা সংক্রামিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শের মাধ্যমে সংক্রামিত হয় না। সংস্পর্শ সংক্রমণ: ত্বকের অ্যানথ্রাক্স (ত্বকের সংক্রমণ) দূষিত পশুজাত পণ্য বা ক্ষতের সংস্পর্শের মাধ্যমে ঘটতে পারে, তবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে সংক্রমণ বিরল। ইনহেলেশন অ্যানথ্রাক্স: ইনহেলেশন অ্যানথ্রাক্স তখন ঘটে যখন স্পোরগুলি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করা হয়, সাধারণত শিল্প প্রক্রিয়া বা দূষিত ওষুধের মাধ্যমে। মানক সতর্কতা: দূষিত পদার্থের সংস্পর্শ এড়াতে হাতের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং উপযুক্ত PPE এর মতো স্ট্যান্ডার্ড সতর্কতা ব্যবহার করা অ্যানথ্রাক্সের প্রাথমিক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা। ফোঁটা এবং বায়ুবাহিত সতর্কতা: শ্বাসযন্ত্রের ফোঁটা বা বায়ুবাহিত কণার মাধ্যমে সংক্রামিত শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের জন্য ফোঁটা এবং বায়ুবাহিত সতর্কতা ব্যবহার করা হয়। যেহেতু অ্যানথ্রাক্স শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ নয়, তাই এই সতর্কতাগুলির প্রয়োজন নেই।

Post Image
No Lumpy

🍀 নো-লাম্পি পাউডার (𝐍𝐨-𝐋𝐮𝐦𝐩𝐲 𝐏𝐨𝐰𝐝𝐞𝐫)🍀 ভয়ানক লাম্পি স্কিন রোগ থেকে রক্ষায় ও গবাদি প্রাণীর সুরক্ষায় পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত সঙ্গী! ------------------------------------------------------------------------- বিগত বছর গুলোর লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রাদুর্ভাবে, সফল ভাবে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম ACI Animal Health এর পরীক্ষিত প্রোডাক্ট নো-লাম্পি পাউডার, যা আপনার গবাদি প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় একাধিক ভূমিকা পালন করবে। 📦 প্যাক সাইজ: ১০০ গ্রাম 🔍 মূল উপাদান:FAO ও DLS কর্তৃক প্রণীত লাম্পি স্কিন ডিজিজ প্রতিরোধ গাইডলাইন ২০২১ অনুসারে প্রস্তুতকৃত- 💊মনোলরিন 💊হার্ব এক্সট্র‍্যাক্ট 💊ভিটামিন 💊ন্যানো মিনারেল 💪 ব্যবহার ও নির্দেশনা: • লাম্পি স্কিন ডিজিজ সহ ক্ষুরা রোগ, ইপিমেরাল ফিভার, পিপিআর, রাণীক্ষেত ও ইনফেকসাস ব্রংকাইটিস রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে • ফ্যাট আবরণী ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে 🦠 • গবাদি পশুর ক্ষত ও ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু নিরাময়ে সাহায্য করে • গবাদি প্রাণীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় 🛡️ • এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে 🌟 📏 মাত্রা ও প্রোয়োগবিধি: 🐂🐃গরু ও মহিষ: ১৫-২০ গ্রাম দিনে দুইবার ৫-৭ দিন 🐐🐑ছাগল ও ভেড়া: ৫-১০ গ্রাম দিনে ২ বার ৫-৭ দিন 🐮 বাছুর: ১০ গ্রাম করে দিনে ২ বার, ৫-৭ দিন আপনার প্রিয় গবাদি প্রাণীর সুস্থতা নিশ্চিত করতে আজ থেকেই নো-লাম্পি পাউডার ব্যবহার করুন! 🌿🐄🐑 #ACI #Animalhealth #Cattlecare #lumpy #nolumpy #cattlemedicine #animalmedicine

Post Image
পশুপালনের টেকসই ভবিষ্যৎ: প্রকৃতি ও প্রযুক্তির সমন্বয়

পশুপালনের ইতিহাস ও বিবর্তন: পশুপালনের ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকে শুরু হয়, যখন মানুষ শিকার-সংগ্রহ থেকে কৃষি জীবনধারায় স্থানান্তরিত হয়। প্রায় ১০,০০০ বছর আগে মানুষ প্রথম গবাদি পশু পালন শুরু করে, যার মধ্যে ছিল ভেড়া, ছাগল এবং গরু। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, পশুপালন গ্রামীণ সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। পশুপালনের মাধ্যমে কৃষকরা শুধু খাদ্য উৎপাদনই নয়, বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেও অংশ নিয়ে থাকে, যেমন কোরবানির ঈদে পশু জবাইয়ের রীতি। আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি: ১. জেনেটিক উন্নয়ন: আধুনিক পশুপালনে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কৃত্রিম প্রজনন (Artificial Insemination) ব্যবহার করে উন্নত জাতের পশু উৎপাদন করা হচ্ছে, যারা বেশি দুধ, মাংস বা ডিম উৎপাদন করতে পারে। ২. স্মার্ট ফার্মিং: সেন্সর, ড্রোন এবং আইওটি (ইন্টারনেট অফ থিংস) প্রযুক্তি ব্যবহার করে পশুদের স্বাস্থ্য, খাদ্য গ্রহণ এবং উৎপাদনশীলতা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ৩. টেকসই পশুপালন: পরিবেশের ক্ষতি কমাতে জৈব পশুপালন, পশুখাদ্যে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নত পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পশুপালনের সামাজিক প্রভাব: পশুপালন শুধু অর্থনৈতিকভাবে নয়, সামাজিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রামীণ নারীরা পশুপালনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বাংলাদেশে অনেক পরিবার ছাগল, গরু বা হাঁস-মুরগি পালন করে তাদের সন্তানদের শিক্ষার খরচ বহন করছে। এছাড়াও, পশুপালন গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী করে। ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: ১. জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা: পশুপালনকে জলবায়ু-বান্ধব করতে গবেষণা চলছে। উদাহরণস্বরূপ, পশুখাদ্যে এমন উপাদান যোগ করা হচ্ছে যা মিথেন নির্গমন কমায়। ২. বিকল্প প্রোটিন উৎস: পশুপালনের পাশাপাশি পোকামাকড় পালন (Insect Farming) এবং ল্যাবে তৈরি মাংস (Lab-Grown Meat) ভবিষ্যতে প্রোটিনের চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। ৩. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: কৃষকদের জন্য আরও প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে, যাতে তারা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে উৎপাদন বাড়াতে পারে। বাংলাদেশে পশুপালনের সম্ভাবনা: বাংলাদেশে পশুপালনের সম্ভাবনা অপার। দেশের জলবায়ু ও ভৌগোলিক অবস্থান পশুপালনের জন্য উপযোগী। সরকার পশুপালন খাতে উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যেমন ভর্তুকি প্রদান, টিকাদান কর্মসূচি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন। এছাড়াও, পশুপালনের মাধ্যমে গ্রামীণ দারিদ্র্য হ্রাস এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব। উপসংহার: পশুপালন কেবল একটি পেশা নয়, এটি জীবনধারা ও সংস্কৃতির একটি অংশ। প্রকৃতি ও প্রযুক্তির সঠিক সমন্বয়ের মাধ্যমে পশুপালনকে আরও টেকসই ও লাভজনক করা সম্ভব। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুস্থ ও সমৃদ্ধ পৃথিবী গড়তে পশুপালনের ভূমিকা অপরিসীম।

Post Image
কৃষি ও জীবনধারার অবিচ্ছেদ্য অংশ

পশুপালন বা লাইভস্টক ফার্মিং হলো কৃষি ও অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা মানুষের জীবনধারা, খাদ্য নিরাপত্তা এবং পরিবেশের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। গবাদি পশু যেমন গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, শূকর এবং হাঁস-মুরগির মতো পোল্ট্রি পশুপালনের মাধ্যমে দুধ, মাংস, ডিম, চামড়া এবং অন্যান্য উপ-পণ্য উৎপাদন করা হয়। এছাড়াও, পশুপালন কৃষকদের জন্য আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস এবং গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড। পশুপালনের উপকারিতা: খাদ্য নিরাপত্তা: পশুপালন থেকে প্রাপ্ত দুধ, মাংস এবং ডিম মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিক অবদান: পশুপালন কৃষকদের জন্য অতিরিক্ত আয়ের উৎস সৃষ্টি করে এবং বৈশ্বিক বাজারে গবাদি পশুর পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। কৃষি সহায়তা: গরু-মহিষের গোবর জৈব সার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এছাড়াও, পশুশক্তি কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়। পরিবেশগত ভারসাম্য: সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পশুপালন পরিবেশের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়তা করে। পশুপালনের চ্যালেঞ্জ: রোগ নিয়ন্ত্রণ: পশুদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে টিকাদান ও স্বাস্থ্যসেবা প্রয়োজন। পরিবেশ দূষণ: অতিরিক্ত পশুপালন মিথেন গ্যাস নির্গমনের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি করতে পারে। খাদ্য ও পানি সংকট: পশুদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আধুনিক পশুপালন: আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে পশুপালন আরও দক্ষ ও টেকসই হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেম, উন্নত প্রজনন কৌশল এবং জৈব প্রযুক্তি পশুপালনের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে। এছাড়াও, জৈব পশুপালন (Organic Livestock Farming) পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যকর পণ্য উৎপাদনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে পশুপালন: বাংলাদেশে পশুপালন গ্রামীণ জীবিকার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। দেশের অর্থনীতিতে গবাদি পশুর অবদান প্রায় ১.৫% এবং এটি লাখো মানুষের জীবিকা নির্বাহের উৎস। সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে পশুপালনের উন্নয়নে প্রশিক্ষণ, ঋণ সুবিধা এবং উন্নত জাতের পশু সরবরাহ করা হচ্ছে। উপসংহার: পশুপালন শুধু খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং পরিবেশের সাথে গভীরভাবে সম্পৃক্ত। টেকসই পদ্ধতি ও আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে পশুপালন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ বিশ্ব গড়ে তুলতে পারে।

Post Image
Heat stress (তাপের প্রভাব)

♦️♦️ডেইরি ফার্মিং এ অতিরিক্ত তাপের প্রভাব এবং এর নিয়ন্ত্রণ♦️♦️ Heat stress অর্থাৎ তাপের চাপে গবাদিপশুর প্রজননে এবং দুগ্ধ উৎপাদনে বেশি প্রভাব ফেলে। বৈশ্বিক আবহাওয়ায় প্রচন্ড তাপের কারণে যথাসময়ে বাচ্চা উৎপাদন এবং দুগ্ধ উৎপাদন হ্রাসের কারণে খামারীগন আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি বিষয়। 🚩ডেইরি খামারে সম্ভাব্য তাপ চাপ উপশম কৌশলগুলির মধ্যে রয়েছে ফ্যানের ব্যবহার, উঁচু শেড যা পর্যাপ্ত বায়ুচলাচলের উপযোগী, ফগার, মিস্টার, কুলার, এয়ার কন্ডিশনার, গোছল করানো এবং পর্যাপ্ত বায়ু সঞ্চালন এক্সস্ট ফ্যান। খাদ্যতালিকায় পরিবর্তনঃ- ✅ ফাইবার সমন্বয় বা উচ্চ-মানের আঁশযুক্ত খাদ্যের ব্যবহার, https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=465403601920956&id=104883891306264 ✅ পরিপূরক সুরক্ষিত চর্বি অর্থাৎ বাইপাস ফ্যাট এবং ✅ঠান্ডা সময়ে খাওয়ানোর মাধ্যমে খাওয়ানোর কৌশলগুলিতে পরিবর্তনগুলি উৎপাদনশীল এবং প্রজনন কর্মক্ষমতার উপর তাপের চাপের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে সাহায্য করতে পারে। #তাপ নিয়ন্ত্রণের উপায়♦️♦️♦️ ১.♦️শারীরিক সুরক্ষা বিধানে-- ✅ গাছ শেড এবং চারণভূমিতে ছায়ার একটি চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস যা আশেপাশের বাতাসকে শীতল করে। ✅সৌর বিকিরণ তাপ চাপের একটি প্রধান কারণ সঠিকভাবে নির্মিত ছায়া কাঠামো ব্যবহার করে ব্লক করা যেতে পারে। এগুলো ছাড়াও কিছু প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা রয়েছে ✅ গাদাগাদি করে অতিরিক্ত পশু না রাখা ✅ বেশিক্ষণ ধরে একজায়গায় পশু না রাখা। হোল্ডিং এলাকাটি অনেক খামারে একটি খুব জনাকীর্ণ এবং খারাপভাবে শীতল এলাকা। ✅ গরুর আবাসন এলাকার উপর বায়ু প্রবাহ ৪-৫ মাইল প্রতি ঘন্টা হলে ভালো। ২.♦️পরিবেশগত তাপমাত্রা কমানোর ব্যবস্থা মাইক্রো-এনভায়রনমেন্টের বায়ুর তাপমাত্রা ✅ এয়ার কন্ডিশনার বা কুলার, ✅ফগার, মিস্টারস এবং ফ্যান ইত্যাদি দ্বারা কমানো যেতে পারে ↘️ বাষ্পীভূত কুলিং প্যাড এবং একটি ফ্যান সিস্টেম যা বায়ুর শক্তি ব্যবহার করে পানিকে বাষ্পীভূত করে মাইক্রো-এনভায়রনমেন্টকে শীতল করার জন্য আরও অর্থনৈতিকভাবে সম্ভাব্য পদ্ধতি। ৩.♦️পুষ্টির খাদ্যতালিকাগত হেরফের: ঘাম, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং হাঁপানির মাধ্যমে বাষ্পীভূত তাপ হ্রাস উচ্চ পরিবেশগত তাপমাত্রায় তাপ হ্রাসের প্রাথমিক প্রক্রিয়া। এর পাশাপাশি ফিড এবং ফিডিং সিস্টেমে নিম্নলিখিত হেরফেরগুলি তাপের চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে ✅ দিনের ঠাণ্ডা সময়ে, ভোরবেলা বা সন্ধ্যার দিকে উপলব্ধ ফিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। ✅ রাত ৮টার মধ্যে রেশনের ৬০থেকে ৭০ শতাংশ খাওয়ানো। এবং সকাল ৮টা গরম আবহাওয়ায় দুধ উৎপাদন সফলভাবে বৃদ্ধি করেছে। ✅বাইপাস প্রোটিন খাওয়ানো। ✅ ভুট্টা বা অন্যান্য খাদ্যশস্যের মতো শক্তি-সমৃদ্ধ খাবার যোগ করে ঘনত্বের পরিমাণ বাড়ান এবং খাদ্যে ফাইবারের পরিমাণ কমিয়ে দিন। ✅শুধুমাত্র শীতল সময়ে চারণ করার অনুমতি দিন। ✅রেশনে ব্যাপক পরিবর্তন কমিয়ে দিন। ✅তাপের চাপের সময় রুমেন ডিগ্রেডেবল প্রোটিন ক্রুড প্রোটিনের (CP) ৬১% এর বেশি হওয়া উচিত নয়। ✅ খাদ্যতালিকাগত ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যের ব্যবস্থাপনা পানীয় জল এবং খাবারে প্রয়োজনীয় শরীরের লবণ এবং ইলেক্ট্রোলাইট যোগ করার উপর ভিত্তি করে। যেমন বিটালাইট, ইলেক্ট্রোমিন ইত্যাদি ✅✅ খাদ্যে পানি যোগ করা গ্রীষ্মের মাসগুলিতে DMI কে সাহায্য করতে পারে। পানি ফাইবার ফিডকে নরম করবে এবং খাদ্যের ধুলোবালি ও শুষ্কতা কমিয়ে স্বাদ এবং ডিএমআই বাড়াবে। তিন থেকে পাঁচ শতাংশ পানি যোগ করার পরামর্শ দেওয়া ✅ রুমেন অ্যাসিডোসিস কমাতে উচ্চ শক্তি, আরও সুস্বাদু খাবার, উচ্চ মানের, অত্যন্ত সুস্বাদু চারার ব্যবস্থা করতে হবে। ✅অন্যদিকে লাইভ ইস্ট Saccharomyces cerevisiae খাওয়ানো, রুমেন pH উন্নত করে ফলে অ্যাসিডোসিসের ঝুঁকি কমায়, ফাইবার হজম এবং নাইট্রোজেন ব্যবহার উন্নত করে, ফিডের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে, রুমেন মাইক্রোফ্লোরা স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে এবং দুধ উৎপাদনে সাহায্য করে। ✅✅একটি সুষম ভারসাম্যপূর্ণ TMR (টোটাল মিক্সড রেশন) ন্যূনতম ফাইবার স্তরে রেশন তৈরি করতে দেয় যা DMI কে উৎসাহিত করে এবং রুমেন গাঁজন ওঠানামা এবং পিএইচ হ্রাস কমিয়ে দেয়। ✅ সেলেনিয়াম সমৃদ্ধ খাবার যাতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের ব্যবহার অক্সিডেটিভ ভারসাম্যের উপর তাপের চাপের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে, যার ফলে দুধের গুণমান উন্নত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্রজনন ফাংশন, ধরে রাখা প্ল্যাসেন্টা প্রতিরোধ এবং সোমাটিক কোষগুলি হ্রাস পায়। ✅♦️ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, নিয়াসিন এবং সেলেনিয়াম এই সময়ের মধ্যে খাদ্যে পরিপূরক করা উচিত। কখনও কখনও জিঙ্ক এবং বায়োটিনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ✅ সব সময় তাজা এবং ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ডিএমআই এবং ঘন ঘন পান করতে উৎসাহিত করার জন্য পানির ট্যাঙ্কগুলি খাওয়ানোর জায়গার কাছাকাছি থাকা উচিত। ☢️আমার নিজস্ব পর্যালোচনায় একটি স্বনামধন্য দুগ্ধ খামারে তাপের চাপে দুধের উৎপাদন ১২% হ্রাস পায় কিন্তু যখন শেডের শীতলতা উন্নত করা হয় তখন দুধের উৎপাদন পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে। অন্য একটি দুগ্ধ খামারে কয়েকটি গাভী ৩-৪ মাসের গর্ভবতী অবস্থায় গর্ভপাত করে অতিরিক্ত তাপে।

Post Image
গবাদি পশুর যত্ন: সুস্থ পশু, সমৃদ্ধ কৃষি

লাইভস্টক বা গবাদি পশু কৃষি অর্থনীতির মেরুদণ্ড। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও মুরগির সঠিক যত্ন নিশ্চিত করলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং কৃষকের আয় বাড়ে। পশুদের জন্য প্রয়োজন: পুষ্টিকর খাদ্য: ঘাস, খৈল, ভুসি ও পরিষ্কার পানি নিয়মিত সরবরাহ করুন। পরিচ্ছন্ন আবাস: পশুর খামার পরিষ্কার রাখুন, যাতে রোগজীবাণু না ছড়ায়। নিয়মিত টিকা: পশুদের রোগ প্রতিরোধে টিকা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করুন। প্রজনন ব্যবস্থাপনা: উন্নত জাতের পশু ও সঠিক প্রজনন কৌশল ব্যবহার করুন। একটি সুস্থ পশু শুধু আপনার নয়, দেশের অর্থনীতিরও সম্পদ। আসুন, লাইভস্টক পালনে আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করি এবং কৃষিতে সমৃদ্ধি আনি! #লাইভস্টক #কৃষি #পশুপালন #সমৃদ্ধিবাংলাদেশ

Post Image