
ডাক ভাইরাল হিপাটাইটিস
(Duck Viral Hepatitis)
কারণ:
ডাক ভাইরাল হেপাটাইটিস ভাইরাস এ রোগের কারণ ।
রোগ বিস্তার:
● আক্রান্ত হাঁসের বাচ্চার সংস্পর্শে ।
● আক্রান্ত হাঁসের পায়খানা, পালক ইত্যাদির মাধ্যমে ।
● খাদ্য, পানি ও বাহকের মাধ্যমে ।
লক্ষণ:
● সাধারণত ১ দিন হতে ৫ সপ্তাহ বয়সের হাঁসের বাচ্চা এ রোগে আক্রান্ত হয় ।
● আক্রান্ত বাচ্চা দুর্বল হয় এবং চলাফেরা করতে পারে না ।
● বাচ্চার বয়স যত কম বোগের তীব্রতা এবং বাচ্চার মৃত্যু হার তত বেশি হয় ।
● আক্রান্ত বাচ্চার মৃত্যুহার শতকরা ১০০ ভাগ পর্যন্ত হতে পারে ।
● অধিকাংশ সময় অসুস্থ বাচ্চা চোখ বন্ধ করে ঝিমাতে থাকে ।
● দেহে খিঁচুনি হয় এবং অনেক সময় একদিকে কাত হয়ে পড়ে থাকে ।
● মাথা পিছনের দিকে বেঁকে যায় ।
● মৃত বাচ্চার কিডনি ও লিভার ফুলে যায় ।
● পায়খানার সাথে রক্ত থাকতে পারে ।
● ৪/৫ সপ্তাহের পর আক্রান্ত বাচ্চা অনেক সময় ভালো হয়
রোগ নির্ণয়:
১ । হঠাৎ হাঁসের বাচ্চার পালে আক্রমন, অল্প সময় রোগে অধিক মৃত্যুহার এবং অন্যান্য লক্ষণ এ
রোগ নির্ণয় করা যায় ।
২ । মৃত বাচ্চার ময়না তদন্ত করে এ রোগ নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করতে পারেন । ময়না তদন্তে এ
রোগে মৃত হাঁসের কিডনি এবং লিভার স্বাভাবিক আকারের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দেখা যায় ।
চিকিৎসা:
সাধারণত ভাইরাসজনিত রোগ এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই । তবে সালফার জাতীয় ঔষুধ ব্যবহার করলে কিছুটা সুফল পাওয়া যেতে পারে ।
প্রতিরোধ:
বাচ্চা হাঁসের পিতা-মাতার এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকলে বাচ্চারা এ রোগে আক্রান্ত হয় না । এজন্য ব্রিডিং খামারের সকল হাঁসকে এ রোগের টিকা দেয়া উচিত । হাঁসের রক্তের সিরাম আক্রান্ত বাচ্চার দেহে ইঞ্জেকশনে প্রতিকার পাওয়া যায় । এ রোগের প্রতিকারের ব্রিডার হাঁসকে টিকা প্রদান করতে হয় ।