ফাউল কলেরা (Fowl Cholera)

লক্ষণ

মুরগি ও অন্যান্য পোল্ট্রিতে সাধারণত তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী এবং হাঁসে অতিতীব্র, তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী প্রকতিৃ র লক্ষণ দেখা যায়। মুরগি ও অন্যান্য পোল্ট্রিতে সাধারণত দুপ্রকৃতিতে কলেরার লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন- তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতি। কিন্তু, হাঁসে এ রোগের লক্ষণ তিন প্রকৃতির হয়ে থাকে। যথা অতিতীব্র, তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতি। কলেরা রোগে আক্রান্ত মুরগিতে নিম্নলিখিত লক্ষণ দেখা যায়। যথা তীব্র প্রকৃতিতে (Acute Form) হঠাৎ ধপ করে পড়ে মারা যায়। রোগের লক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই অর্থাৎ জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার অল্পক্ষণের মধ্যেই মারা যায়। সবুজ রঙের পাতলা পায়খানা করে। অনেক সময় পায়খানা ফেনাযুক্ত হয়। নাক ও মুখ দিয়ে পানি পড়ে। গলার ফুল ফুলে যায় (বিশেষ করে মোরগের ক্ষেত্রে)। মাথার ঝুঁটি একেবারে কালো হয়ে যায়। মাথা বাঁকা হয়ে (Twisting) বসে থাকে। সন্ধিপ্রদাহ বা আরথ্রাইটিস (Arthritis) হয় এবং পা খোঁড়া হয়ে যায়। ডিমপাড়া মুরগির ডিম উৎপাদন কমে যায় এবং দুমাস পর্যন্ত অসুস্থ থাকে। অবশেষে আস্তে আস্তে মারা যায়। কলেরায় আক্রান্ত হাঁসে নিম্নলিখিত লক্ষণ প্রকাশ পায়। যথা− অতিতীব্র প্রকৃতিতে (Peracute Form) রোগলক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই হাঁস মারা যায়। তীব্র প্রকৃতিতে (Acute Form) ক্ষুধামন্দা কিন্তু অধিক পিপাসা দেখা দেয়। জ্বর হয় ও পালক উসকোখুশকো হয়ে যায়। আক্রান্ত হাঁসের মুখ দিয়ে পিচ্ছিল তরল পদার্থ বের হয়। প্রথমে সাদা ও শেষে সবুজ রঙের পাতলা পায়খানা হয়। দীর্ঘস্থায়ী প্রকৃতিতে (Chronic Form) পায়ের অস্থিসন্ধিতে প্রদাহ হয় এবং সে স্থান ফুলে যায় ও পাখি খোঁড়ায়। হাঁসের স্বাস্থ্যহানী ঘটে। রোগ নির্ণয় নিম্নলিখিতভাবে হাঁসমুরগির কলেরা রোগ নির্ণয় করা যায়। যথা− বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ, ময়না তদন্ত ও গবেষণাগারে জীবাণু শণাক্তকরণের মাধ্যমে কলেরা রোগ নিণয় করা যায়র্ । ক্স রোগের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ দেখে। ক্স ময়না তদন্তে বিভিন্ন অঙ্গের প্যাথলজিক্যাল পরিবর্তন দেখে। যেমন−
♦ অন্ত্রে রক্তক্ষরণ।
♦ যকৃতে ছোট ছোট সাদা দাগ।
♦ হৃৎপিন্ডের বাইরের সাদা অংশে রক্তের ফোঁটা।
♦ মৃত হাঁসের সমস্ত অঙ্গে রক্তক্ষরণ ও রক্তাধিক্য। গবেষণাগারে জীবাণু কালচার করে।

চিকিৎসা

Rx

1. Enflox-vet or Ciprocin vet or Endrocin vet
2. Oralyte or Renalyte or Glucolyte