
কিটোসিস (Ketosis)
কারণ:
• রক্তে Gluccose এর অভাব ।
• গাভীর খাদ্যে Carbohydrate জাতীয় খাদ্যের অভাব ।
লক্ষণ:
♦ খাদ্য গ্রহণে অহীনা ও অবসাদ ভাব দেখা যায় ।
♦ দৈহিক ওজন কমে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায় ।
♦ আক্রান্ত প্রাণির শ্বাস-প্রশ্বাস মিষ্টি গন্ধ পাওয়া যায় ।
♦ গাভী দুধ দেওয়া কমিয়ে দেয় ও গাভীর দুধে অ্যালকোহলিক গন্ধ পাওয়া যায় ।
♦ অনেক সময় গাভী এক জায়গাতে দাঁড়িয়ে চর্তুদিকে ঘুরতে থাকে ।
রোগ নির্ণয়:
১। অদিক দুধ উৎপাদনশীল গাভী, সাধারণত বাচ্চা প্রসবের ৫-৬ সপ্তাহের মধ্যে রোগের আক্রমন
সল্প কার্বোহইড্রেটযুক্ত খাদ্য সরবরাহের ইতিহাস । এছাড়া আক্রান্ত গাভীর শ্বাস-প্রশ্বাস ও
গোয়াল ঘরে মিষ্টি অ্যালকোহলিক কিটোনের গন্ধ পাওয়া যায় ।
২। বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণের মধ্যে স্বাস্থ্য খারাপ পওয়া ও বিভিন্ন নার্ভাস লক্ষণ প্রকাশ পাওয়া ।
৩। শিরায় গ্লুকোজ ইঞ্জেকশন দিলে দ্রুত প্রাণি আরোগ্য লাভ করলে এ রোগ নিরূপণ হয় ।
চিকিৎসা:
Rx
(১) গ্লুকোজ বা ডেক্সট্রোজ ( ২৫-৫০% ) স্যালাইন শিরায় দিতে হবে । প্রয়োজনে পুন:পুন: ইঞ্জেকশন দিতে হবে ।(২) গ্লিসারিন ১২৫-২৫০ মি.লি. , সমপরিমান পানির সাথে মিশিয়ে দিনে দু’বার করে ৩-৪ দিন খাইয়ে যেতে হবে ।
(৩) গ্লুকোকর্টিকোয়েডস হরমোন যেমন- Inj. Steronvet ( ACME ) ইঞ্জেকশন Predexanol-S ( Renata )/ Inj. Dexaphos plus vet ( Chemist )/ Inj. Predex ( Globe )/ Inj. Dexavet ( Techno ) or Inj. Prednivet ( Techno ) যে কোন একটি বড় প্রাণির জন্য ১০-২০ মি.লি. দিলে রোগের চিকিৎসায় চমৎকার কাজ করে ।
প্রতিরোধ :
অধিক দুধ উৎপাদনশীন গাভীকে শর্করা জাতীয় খাদ্য সরবরাহ করতে হবে ।