
খোঁস পাঁচড়া রোগ (Mange Disease)
কারণ:
⮚ সোরোপটিক মাইট্স ( Psoroptes mites )
⮚ সারকোপটিক মাইট্স ( Sarkoptes mites )
⮚ ডেমোডেকটিক ( Demodex bovis )
সংক্রমণ:
আক্রান্ত ছাগলের সংস্পর্শে আসলে সুস্থ ছাগলে এ মাইট রোগে সংক্রমিত হয় ।
লক্ষণ:
● চর্মপ্রদাহ ও চুলকানি এ রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য ।
● মাইট দেহের লোমপূর্ণ জায়গায় চামড়া ভেদ করে এবং লসিকা রস খায় এর ফলে আক্রান্ত স্থান হতে রস ঝরে পড়ে ।
● রস শুকিয়ে মামড়ি ( scab ) সৃষ্টি হয় ।
● আক্রান্ত স্থান অত্যধিক চুলকায় ও ফুলে যায় ।
● অধিক আক্রমণের ফলে চুলকানির কারণে আক্রান্ত ত্বক স্থান শক্ত বস্তুর সঙ্গে ঘষে ফলে লোম পড়ে যায় ।
● আক্রান্ত স্থান পুরু ও খস্ খসে মামড়ি হয় ।
● ত্বক সাদা, শক্ত ও ভারী হয়ে যায় ।
● খাদ্য গ্রহণ কমে যায়, দুর্বল ও স্বাস্থ্যহীন হয় ।
● সময় মত না করালে রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে ছাগল মারাও যায় ।
রোগ নির্ণয়:
⮚রোগের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ দেখে অথবা অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পরীক্ষা করে মাইট্স নির্ণয় করে এ রোগ শনাক্ত করা যায় ।
চিকিৎসা:
আক্রান্ত ছাগল নিচের যে কোন একটি পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা যায় ।
Rx
(১) কীটনাশক পর্দাথ যেমন: নেগুভন ( ০.৫% ), অসানটল ( ০.০৫-০.১% ), নিওসিডল ( ০.০২% ) ।নিয়ম: যে কোন একটি ঔষধ স্পে বা ডিপিং পদ্ধতিতে ১ম বার এবং ৭ দিন পর পুনরায় প্রয়োগ করতে হবে ।
(২) মানুষের ব্যবহৃত ঔষধ যেমন: Ascabiol 60 ml or Scabisol 60 ml ( মানুষের ঔষধ ) আক্রান্ত ছাগলের গায়ে নারিকেলের তেল সহযোগে পর পর ৩ দিন লাগানোর পর ৭ দিন পর পুনরায় পর পর ৩ দিন লাগালে ছাগল দ্রুত সেরে উঠে ।
(৩) Vermic injection 5, 10 ml ( Techno )/ Inj. Cevamec-1% 50 ml ( ACI )/ Inj. A-Mectin 10 ml ( ACME ) ।
নিয়ম: ০.২ মি. লি. গ্রাম/প্রতি কেজি দৈহিক ওজন হিসেবে অথবা প্রতি ৫০ কেজি দৈহিক ওজনের প্রাণির জন্য ১ মি. লি. চামড়ার নিচে দিলে এতে ছাগল দ্রুত আরোগ্য লাভ করে ।
প্রতিরোধ:
(ক) প্রাণিকে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে লালন-পালন করতে হবে এবং সুষম খাবার দিতে হবে ।
খ) নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ সেবন করতে হবে ।