ক‌্যাংকার রোগ

কারণ:

Trichomonas gallinae নামক প্রোটোজোয়ার কারণে সংক্রমণ হয়ে থাকে ।


লক্ষণ:

● কবুতরের ওজন হ্রাস পায় ,ক্ষুদামন্দা দেখা যায় ।
● কবুতরের পালক এলোমেলো দেখায় ।
● পাখি নিস্তেজ হয়ে যায় ।
● আক্রান্ত পাখির মুখ দিয়ে অত‌্যাধিক লালা বের হয় ।
● কবুতরের মুখ গহ্বরে অর্থাৎ বিশেষ করে ছোট সাদা থেকে হলুদ বর্ণের ক্ষত বা ঘা হয় ।
● এ রোগে আক্রান্ত পাখির আক্রান্ত স্থান থেকে দুর্গন্ধ আসে ।
● পাখি তার নিজের ভারসাম‌্য বজায় রাখতে পারে ।
● ম্বাস কষ্ট হয় ।
● আবার অনেক সময় এ রোগে আক্রান্ত পাখির ডায়রিয়া হয় ।


রোগ ছড়ানোর মাধ‌্যম:

(ক) সংক্রমিত পাখির খাদ‌্য বা পানি অন‌্য পাখি পান করলে এ রোগ ছড়ায় ।
(খ) আক্রান্ত পাখি তার বাচ্চাদের খাবার খাওয়ালে এ রোগ এক দেহ থেকে অন‌্য দেহে ছড়িয়ে থাকে ।


রোগ নির্ণয়:

১। রোগের ইতিহাস এবং বৈশিষ্ট‌্যপূর্ণ লক্ষণ দেখে এ রোগ খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় ।
২। এছাড়াও সবুজ তরল, চিজি উপাদান বা ক্ষতগুলির মাইক্রোস্কোপিক পরীক্ষার মাধ‌্যমে এ রোগ নিশ্চিত করা হয় ।


চিকিৎসা:

● রনিডাজল ( রনিভেট-এস ) বিশুদ্ধ খাবার পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন খাওয়াতে হবে ।
● কার্নিডাজল (স্পাট্রিক্স) এবং মেট্রোনিডাজল (ফ্ল্যাজিল) এর একক ডোজে চিকিৎসা করালে কিছু সুফল পাওয়া যেতে পারে ।


রোগ প্রতিরোধ:

(ক) পাখিকে দূষিত খাবার/পানি খাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে ।
(খ) পাখিকে পরিষ্কার রাখতে হবে এজন‌্য পাখিকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে ।
(গ) এটি একটি পরজীবীবাহিত রোগ ।খাবারের সময় মুখের লালা খাদ‌্যের মধ‌্যে মিশে যায় ফলে অন‌্য পাখি সেই লালা মিশ্রিত খাদ‌্য খেলে এ রোগে আক্রান্ত হয় সেজন‌্য আক্রান্ত পাখির খাবার যেন অন‌্য পাখি না খেতে পারে সেদিকে লক্ষ‌্য রাখতে হবে ।
(ঘ) এ রোগে আক্রান্ত কবুতরকে অন‌্য কবুতর থেকে আলাদা স্থানে রাখতে হবে ।
(ঙ) আক্রান্ত মা পাখি যেন তার বাচ্চাকে খাবার খাওয়াতে পারে সেদিকে লক্ষ‌্য রাখতে পারে ।
(চ) পাখির বাসা/খামার সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ।
(ছ) পাখির ক্ষতগুলি পরিষ্কার করতে হবে এবং দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।