কবুতরের ঠান্ডা

কবুতর যতগুলি রোগে আক্রান্ত হয় তার মধ‌্যে সবচেয়ে কমন / নরমাল রোগ হলো কবুতরের ঠান্ডা বা সর্দি-কাশি । কিন্তু এই ঠান্ডা বা সর্দি-কাশি কবুতরের অন‌্যান‌্য রোগের আক্রামণের পূর্বাভাস হিসেবে কাজ করে ।


লক্ষণ:

ঠান্ডা লাগলে কবুতর ঝিম মেরে বসে থাকে ।
● ক্ষুদামন্দা দেখা দেয়, কবুতর দুর্বল হয়ে পড়ে ।
● নাক-মুখ দিয়ে পানি ঝরে ।
● কবুতরের দৈহিক ওজন হ্রাস পায় ।
● সবুজ পাতলা পায়খানা করে ।
● এ রোগে আক্রান্ত কবুতর অনেক সময় বমি করে ।


রোগ নির্ণয়:

বৈশিষ্ট‌্যপূর্ণ লক্ষণ দেখে এ রোগ নির্ণয় করা যায় ।


চিকিৎসা:

(১) Navanar erazin vet প্রতি লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানিতে ১ গ্রাম মিশিয়ে ৩-৪ দিন খাওয়াতে হবে ।

(২) রোগের তীব্রতা বেশি হলে Erazin vet প্রতি লিটার বিশুদ্ধ খাবার পানিতে ২ গ্রাম মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়াতে হবে ।

(৩) তুলসি, আদা, লবঙ্গ আর মধু কুসুম গরম পানির সঙ্গে মিশ্রিন করে একটানা ৩-৪ দিন খাওয়ালে অনেকটা সুফল পাওয়া যায় ।


প্রতিরোধ:

(ক) এ রোগে আক্রান্ত কবুতরকে অন‌্য কবুতর থেকে আলাদা করে রাখতে হবে ।
(খ) ঠান্ডা কবুতরের একটা নরমাল রোগ হলেও এ রোগের সূচনা থেকেই কবুতর অন‌্য সব রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে । তাই অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসার ব‌্যবস্থা করতে হবে ।
( গ ) রোগের তীব্রতা দেখে এ রোগের চিকিৎসা ব‌্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । প্রাথমিকভাবে এ রোগের চিকিৎসা করা যায় ।