
সালমোনেলোসিস
কারণ:
সালমোনেলা পুলোরাম ( Salmonella pullorum ) নামক ভাইরাস দ্বারা এ রোগ হয় ।
লক্ষণ:
● কোন কোন বাচ্চা ডিমের ভিতরেই মারা যায় ।
● আবার কোন কোন বাচ্চা ডিম হতে বের হয়ে অল্প সময়েই মধ্যেই মারা যায় ।
● আক্রান্ত বাচ্চা মাথা নিচু করে ঝিম মেরে থাকে ।
● ঘন ঘন পাতলা সাদা বর্ণের মল ত্যাগ করে । যার কারণে এই রোগটি ব্যাসিলারী হোয়াইট ডায়রিয়া নামে পরিচিত ।
● আক্রান্ত বাচ্চা কিছু খায় না ।
● এ রোগে আক্রান্ত বাচ্চা ঘন ঘন পানি পান করে থাকে ।
● খাদ্য গ্রহণে অনীহা, দুর্বলতা, মাথার ঝুঁটি ফ্যাকাশে ।
● শীতে কাঁপে, চিঁচিঁ করে চিৎকার করে ।
● দুই এক দিনের মধ্যে অধিক সংখ্যক পাখি মারা যায় ।
রোগ নির্ণয়:
১। লক্ষণ দেখেই এ রোগ সম্বন্ধে অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায় । যে সকল বাচ্চা ডিমের ভিতরে মারা
যায় তাদের পেটের ভিতরে ডিমের কুসুম দেখা যায় ।
২। এ ছাড়া জন্মের পর মারা গেলে নাভীতে ঝুলন্ত / ময়লাযুক্ত কুসুম দেখা যায় যার কারণে খুব
সহজেই রোগ নির্ণয় করা যায় ।
চিকিৎসা:
এ রোগের প্রাদুর্ভাব দুর করতে বা প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বাচ্চার ১ম দিন বয়স থেকেই পানির সঙ্গে নিম্নের যে কোন একটি এন্টিবায়োটিক ঔষুধ খাওয়ালে বাচ্চার মৃত্যু হার অনেক হ্রাস পায় । যেমন-
Rx
ঔষুধের নাম | প্রয়োগমাত্রা | ঔষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের নাম |
---|---|---|
Antidox/ এন্টিডক্স ১০গ্রাম, ২০ গ্রাম ও ১০০ গ্রম স্যাসেট | ২ লিটার খাবার পানিতে ১ গ্রাম এন্টিডক্স মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে । | এ সি আই এনিমেল হেল্থ |
Furalvet WSP/ফুরাভেট ডব্লিউএসপি ১০*১০ গ্রাম স্যাসেট | ১ গ্রাম / ২ লিটার খাবার পানিতে মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়াতে হবে । | ACME |
ফুরাজল পাউডার | ৮ গ্রাম ফুরাজলিডিন ২০ লিটার পানিতে অথবা আনুপাতির হারে মিশিয়ে ৫-৭ দিন খাওয়াতে হবে । | গ্লোব ফার্মাসিউক্যালস লিমিটেড |
মাইক্রোনিড | প্রতি লিটার খাবার পানিতে ০.৫ থেকে ১.০ গ্রাম মিশিয়ে ৫ দিন খাওয়াতে হবে । | রেনাটা অ্যানিমেল হেল্থ, বাংলাদেশ |
এনরোসিন | প্রতি লিটার খাবার পানিতে ০.৫ মি. লি. মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে । | রেনাটা অ্যানিমেল হেল্থ, বাংলাদেশ |
এনফ্লক্স-ভেট সলিউশন | প্রতি লিটার খাবার পানিতে ০.৫ মি. লি. মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে । | স্কয়ার ফার্মা, বাংলাদেশ |
কসুমিক্স প্লাস | প্রতি লিটার খাবার পানিতে ২.০-২.৫ গ্রাম মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে । | এলানকো বাংলাদেশ লিমিটেড |
প্রতিরোধ:
(ক) আক্রান্ত মুরগির ডিম বাচ্চা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা যাবে না ।
(খ) রোগ বিস্তারের উৎস ও সম্ভবনা নির্মূল করতে হবে ।
(গ) ব্রুডার জীবাণুনাশক ঔষুধের সাহায্যে জীবাণু মুক্ত করতে হবে ।
(ঘ) ব্রুডার ঘর, মুরগির ঘর ফিউমিগেশন করতে হবে ।
(ঙ) হ্যাচারী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে ফিউমিগেশন করতে হবে ।
(চ) যে সকল মুরগির ডিম বাচ্চা ফুটানোর জন্য ব্যবহার করা হবে ঐ সকল মুরগিকে পরীক্ষা করে
ডিম ব্যবহার করতে হবে ।