
ধনুস্টংকার (Tetanus)
কারণ:
Clostridium tetani নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এ রোগ হয় ।
কিভাবে ছড়ায়:
এ রোগ প্রধানত, দুর্ঘটনাজনিত আঘাত, বাচ্চা প্রসব, অস্ত্রোপচার, খোজা করার ক্ষতের মাধ্যমে এ রোগ সংত্রমিত হয় ।
লক্ষণ:
● প্রথমে দেহের বিভিন্ন অংশের মাংসপেশী শক্ত হয় ।
● চোয়ালের মাংস শক্ত হয়ে যাওয়ায় ছাগলের মাড়ি আটকে যায়; একে লক জ্ব বলে ।
● ছাগল লক জ্ব হওয়ার ফলে জাবর কাটতে ও খেতে পারে না ।
● পায়ের গিরা শক্ত হয়ে যায়, ফলে ছাগল কাঠের ঘোড়ার মত শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ।
● পেশীর কম্পন ও খিঁচুনী শুরু হয় ।
● মুখ দিয়ে লালা ঝরে ।
● শেষে শ্বাসরোধ হয়ে ৬-৭ দিনের মধ্যে ছাগল মারা যায় ।
রোগ নির্ণয়:
ক্ষত হবার ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্যপূর্ণ উপসর্গ দেখে এ রোগ শনাক্ত করা যায় ।
চিকিৎসা:
এ রোগে ছাগল আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিয়ে তেমন সুফল পাওয়া যায় না । তবে, প্রতি কেজি ছাগলের
জন্য ২০ হাজার আই . ইউ পেনিসিলিন জাতীয় ইঞ্জেকশন যেমন-
(১) Injection Pronapen 40 lac ( ইঞ্জেকশন প্রোনাপেন ভেট ৪০ লাখ, রেনাটা ) ইঞ্জেকশন
প্যানব্যাকক্সিন ৪০ লাখ ( Inj. Penbacllin 40 lac, ACI ) / ইঞ্জেকশন স্ট্রেপটোপেন ০.৫ গ্রাম
( Inj. Streptopen 0.5 gm, Renata )/ ইঞ্জেকশন স্ট্রেপটো-পি ০.৫ গ্রাম ( Inj. Strepto-P 0.5
Gm, ACI )/ Inj. Combipen vet-40 lac ( ACME )
প্রয়োগ: উপরের যে কোন একটি ইঞ্জেকশন অর্ধেক আক্রান্ত স্থানে বাকী অর্ধেক যে কোন স্থানের
মাংসপেশীতে দিনে ২ বার করে ৫-৬ দিন দিলে কিছুটা উপকার হয় ।
(২) Inj. Largactil ( Sanofi-Aventis ) / Inj. Opsonil ( Opsonin ) প্রতি কেজি দৈহিক ওজনের
জন্য ০.৪-০.৮ মি.গ্রা. বা ১ মি.গ্রা. / কেজি হিসেবে দিনে ৩ বার মাংসপেশীতে দেওয়া যায় ।
প্রতিরোধ:
(ক) এ রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য ছাগলের কোন স্থানে ক্ষত হলে এন্টিসেপটিক ঔষধ যেমন-
আয়োডিন বা ডেটল বা স্যাভলন লাগাতে হবে ।
(খ) কোন ক্ষত / অপারেশনের সময় টিটাভ্যাক্স ইঞ্জেকশন ( Tetavax injection ) প্রয়োগ করতে
হবে ।